বাঙ্গি চাষে লাভের আশায় মাদারীপুরের কৃষকরা

Post Image

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিপুল পরিমাণ জমিতে আবাদ হয়েছে বাঙ্গি বা ফুট। ভালো ফলনের আশায় অভাব-অনটন দূর করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন বুনছেন চাষীরা। অল্প খরচে বেশি লাভ বলেই মাদারীপুরের কৃষকরা বাঙ্গি বা ফুট চাষে আশাবাদী হয়ে উঠেছে।

ভালো ফলনের জন্য জমিতে নিয়মিত পানি, ডিএটি সার, টিএসপি ও ফসফরাস বা পটাস সার এবং পোকা-মাকর দমনের জন্য কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়। চাষিরা কার্তিক মাস থেকে বাঙ্গি বা ফুট বীজ রোপণ শুরু করেন। ফল ধরতে সময় লাগে চার থেকে পাঁচ মাস। ফাল্গুনের শুরুতে বাঙ্গি তোলা শুরু হয়। 

আবাদিরা জানান, জমি থেকে ফলন তোলার পর তারা তা খুচরা বা পাইকারি দরে বিক্রি করেন। এই আবাদের আগে এখানকার মানুষ অত্যন্ত দরিদ্র ছিল। কিন্তু এখন বাঙ্গি চাষ করে সবারই অভাব দূর হয়েছে। এখানে প্রতি বিঘা জমিতে তাদের খরচ হয় ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা। ভালো ফলন হলে ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ হয়। এই আবাদ থেকে এ অঞ্চলের মানুষ নতুন আশায় বুক বেঁধেছেন। সরকার ও কৃষি বিভাগের সহায়তা পেলে আরও বেশি উপকৃত হতো চাষীরা।

বাঙ্গি চাষী আজাহার বেপারী বলেন আমরা আগাম বাঙ্গি চাষ করি। তাই পৌষ-মাঘ মাস এলেই বাঙ্গি বিক্রি করতে পারি। আমাদের এক বিষা জমিতে ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ হয়। তবে ফলন ভালো হলে প্রতি বিঘা জমিতে ৫০-৮০হাজার টাকা বিক্রি করা যায়।

রাজৈর উপজেলার আর বাঙ্গি চাষী রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা সরকারিভাবে যদি আর্থিক সহযোগিতা পাই বা সরকারি ব্যাংক থেকে স্বল্প সুদে লোন পাওয়া যায়। তাহলে মাঝে মাঝে যে লোকসান গুনতে হয়। তা আর গুনতে হবে না। আমরা প্রায় সব কৃষকেরাই এলাকার মানুষের কাছ থেকে মোটা অংকের সুদে টাকা নিয়ে বাঙ্গি চাষ করি।

মাদারীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আবদুর রাজ্জাক জানান, মাদারীপুরের সদর উপজেলাসহ নির্ধারিত কিছু এলাকায় বীজ ও সার, সেচ, পোকা মাকর ধমন করার জন্য মাঠ পর্যায় আমরা প্রশিক্ষণসহ পরামর্শ দিয়ে থাকি। যাতে তারা লাভবান হতে পারে। এবং এর চাষাবাদ আরও বাড়ানো যায় এই জন্য আমরা মাঠ পর্যায় নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।